সকাল ৯টার দিকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক এই এমপিকে চকরিয়া থানা হেফাজত থেকে চকরিয়া উপজেলা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে আজ তোলা হয়।
আদালত সূত্র জানায়- পেকুয়া থানার নতুন একটি জিআর মামলায় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিত জাফর আলমকে শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। সেই মামলার শুনানি শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিচারক মো. আনোয়ারুল কবির। এনিয়ে পেকুয়া থানার তিন মামলায় সর্বমোট সাত দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ। আজ বুধবার থেকেই নতুন করে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হলো সাবেক এমপি জাফর আলমকে।
রাষ্ট্রপক্ষে তথা জাফর আলমের বিপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন আদালতের এপিপি অ্যাডভোকেট মো. মঈন উদ্দিন এই তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। আদালতের শুনানী চলাকালে জাফর আলমের পক্ষে শুনানী করেন অসংখ্য আইনজীবী।
আদালতের এপিপি মঈন উদ্দিন বলেন- গত ১৮ জুন সাবেক এমপি জাফর আলমকে চকরিয়া থানার পাঁচ মামলা ও পেকুয়া থানার দুই মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড শুনানী করা হয় আদালতে। শুনানী শেষে তাকে সাতটি মামলায় সর্বমোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত। তন্মধ্যে চকরিয়া থানার পাঁচ মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে আজ বুধবার সকাল ৯টায় চকরিয়া থানা হেফাজত থেকে আদালতে তোলা হয় জাফর আলমকে। এ সময় পেকুয়া থানার আরেকটি মামলায় পুলিশ শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানোসহ রিমান্ড চেয়ে করা আবেদনের শুনানী শেষে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
বিগত ৫ আগষ্ট পরবর্তী চকরিয়া ও পেকুয়া থানায় দায়ের করা একাধিক হত্যাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে সাবেক এমপি জাফর আলমের বিরুদ্ধে ৮টি মামলা রুজু করা হয়।
চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শফিকুল ইসলাম জানান- চকরিয়া থানার পাঁচ মামলায় ১৪ দিনের রিমান্ড শেষে সাবেক এমপি জাফর আলমকে আদালতে নেওয়া হয়। এর পর তাকে আদালত থেকে সোজা নিয়ে যাওয়া হ পেকুয়া থানার হেফাজতে।
এ ব্যাপারে পেকুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সিরাজুল মোস্তফা জানান- আজ বুধবার থেকেই পেকুয়া থানার তিন মামলায় সাত দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হয়েছে।